শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন
মিজানুর রহমান : মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মৌলভীবাজারে শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধু নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব। উৎসবের উদ্বোধন করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম কুদ্দুস।
শুত্রুবার সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার পৌর জনমিলন কেন্দ্রে উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ।
পৌর মেয়র ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, নাট্যজন ঝুনা চৌধুরী, নাট্যজন আজমল হোসেন ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি শামসুল আলম সেলিম।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন উৎসব উদযাপন কমিটির আহবায়ক আব্দুল মতিন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, নাট্য সংগঠক ও মনু থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাকলীন সাধারণ সম্পাদক, যুক্তরাজ্য প্রবাসী কমিউনিটি লিডার রুহুল আমিন রুহেল।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উৎসব উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব কয়ছর আহমদ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর মৌলভীবাজারের দৃষ্টিপাত নাট্য সংসদ নাটক ‘জেগে ওঠো হে মহা মানব’ মঞ্চায়ন করে।
নাটকের কাহিনী সংক্ষেপ
প্রতিরোধ ও জনযুদ্ধ এ নাটকের প্রতিচ্ছবি। মুক্তিযোদ্ধা চিরকাল মুক্তিযোদ্ধা থাকে না। রাজাকার চিরকাল রাজাকার। এ শাশ্বতসত্য উন্মেচিত হয়েছে নাটকে। অপরদিকে দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধার আপোষহীন যুদ্ধ সংঘাতই এ গল্পের পটভূমি।
নাটকের কুশীলব
আব্দুল মতিন, ঝুমা, ডোরা প্রেন্টিস, মৌ, মোহন, শাহীন ইকবাল, রায়হান আহমেদ বাবলু, মো. রুহেল, সুজন, মেরাজ চৌধুরী। নাটকের প্রযোজনা করেন- আসকার আদনান নিপু।
নাট্যকার ও নির্দেশক আব্দুল মতিনের কথা
বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সামরিক ছাউনি থেকে জন্মনেয়া স্বৈরচারি ও যুদ্ধপরাধী পরিবেষ্টিত সরকারগুলোর গণবিরোধ কর্মকান্ডই নাটকের প্রতিচ্ছবি। প্রতিরোধ ও জনযুদ্ধের পটভূমি নাটকের কাহিনী। জাগ্রত জনতার জেগে ওঠার আহবান মূলত নাটকের ম্যাসেজ।
উৎসবের বাকি ৯ দিনের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও নাটক মঞ্চায়ন
দ্বিতীয় দিন (৫ মার্চ) শনিবার বিকেল পাঁচটায় রয়েছে সুর নিকতনের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় সিলেটেরলিটল থিয়েটার নাটক মঞ্চায়ন করবে ।
তৃতীয় দিন (৬ মার্চ) রোববার বিকেল পাঁচটায় রয়েছে বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। সন্ধ্যা পৌনে সাতটায়রেপার্টরি থিয়েটার নাটক মঞ্চায়ন করবে।
চতুর্থ দিন (৭ মার্চ) সোমবার বিকেল পাঁচটায় রয়েছে উচ্চারণের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় থাকবে ঐতিহাসিক৭ই মার্চ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান।
পঞ্চম দিন (৮ মার্চ) মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটায় রয়েছে নজরুল সংগীত শিল্পী পরিষদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। সন্ধ্যা পৌনেসাতটায় জীবনচক্র থিয়েটার নাটক মঞ্চায়ন করবে।
ষষ্ট দিন (৯ মার্চ) বুধবার বিকেল পাঁচটায় রয়েছে শাহ মোস্তফা বাউল গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। সন্ধ্যা পৌনে সাতটায়ঢাকার নবনাট নাটক মঞ্চায়ন করবে।
সপ্তম দিন (১০ মার্চ) বৃহষ্পতিবার বিকেল পাঁচটায় রয়েছে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় ঢাকার বাতিঘরনাটক মঞ্চায়ন করবে।
অষ্টম দিন (১১ মার্চ) শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় রয়েছে দেশলাইয়ের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় ঢাকা থিয়েটারনাটক মঞ্চায়ন করবে।
নবম দিন (১২ মার্চ) শনিবার বিকেল পাঁচটায় রয়েছে শৈলীর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় ঢাকার থিয়েটার নাটকমঞ্চায়ন করবে।
দশম দিন (১৩ মার্চ) রোববার বিকেল পাঁচটায় রয়েছে সুরের ভেলার সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় মনু থিয়েটারনাটক মঞ্চায়ন করবে।
একাদশতম দিন (১৪ মার্চ) সোমবার বিকেল পাঁচটায় রয়েছে চিরন্তনী লোকগানের দলের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। সন্ধ্যা পৌনেসাতটায় টাউন থিয়েটার নাটক মঞ্চায়ন করবে।